বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। তাই বাংলাদেশে বিচ শুনলেই আমাদের চোখে ভেসে উঠে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্রাণবন্ত রূপ। কিন্তু সমুদ্র ছাড়াও কক্সবাজারে ঘুরে দেখার আছে অনেক কিছু। খুব কম সময়ে ঘুরে দেখার মতো কক্সবাজারের সেরা ৩টি জায়গা তুলে ধরা হয়েছে এখানে। চাইলে সমুদ্রের হাতছানিতে সাড়া দিয়ে এই জায়গাগুলো ঘুরে নিতে পারেন যেকোনো সময়।
- রামু বৌদ্ধ মন্দির
কক্সবাজারের রামু উপজেলাতে অবস্থিত ১০০ ফুট দীর্ঘ গৌতম বুদ্ধের মূর্তি নজর কেড়ে নেয় ঘুরতে আসা সব দর্শনার্থীদের। বিশাল এই বুদ্ধ মূর্তির জন্য এলাকাটিকে এক টুকরো থাইল্যান্ড বলে মনে হয়। এর দক্ষিণে রয়েছে অনিন্দ্য সুন্দর লালচিং আর সাদাচিং বৌদ্ধ বিহার। প্রবারণা পূর্ণিমার সময় ফানুস উড়ানো আর নানা আয়োজনে সরগরম থাকে এই মন্দির। দেশ-বিদেশ থেকে অনেক পর্যটিক আসেন রামুর বৌদ্ধ মন্দির দেখতে।
- রামু রাবার বাগান
১৯৬০-৬১ সালে বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের সহযোগিতায় ২,৬৮২ একর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয় রামু রাবার বাগান। সবুজ সমতল আর ছোট ছোট টিলা নিয়ে বিস্তৃত এই বাগান এখন পর্যটকদের আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। রামুর রাবার বাগান থেকে বছরে প্রায় আড়াই লাখ কেজি রাবার উৎপন্ন হয়। তাই আপনি যদি রাবার প্রক্রিয়াকরণ কাছ থেকে দেখতে চান, তাহলে তাও দেখতে পারবেন এখান থেকে।পিকনিক, ক্যাম্পিং আর নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য প্রকৃতিপ্রেমী হিসেবে আপনার জন্য সেরা জায়গা হতে পারে রামুর রাবার বাগান।।
- ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক
ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক নামেও পরিচিত। প্রাথমিকভাবে এই পার্ক হরিণ প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হলেও এখন ৮টি ব্লকে বাঘ, সিংহ, গয়াল, গন্ডার, কুমিরসহ অনেক প্রাণীর দেখা মেলে এখানে। পায়ে হেঁটে বা পার্কের নিজস্ব মিনিবাসে চড়ে পার্ক ঘুরে দেখতে পারবেন। অনেকগুলো ওয়াচ টাওয়ার থেকে পশুপাখির বিচরণ উপভোগ করতে পারবেন নিরাপদে। তাছাড়া পর্যটকদের জন্য জাদুঘর রয়েছে এখানে। পথের ধারে পশুপাখির ভাস্কর্য আর চমৎকার সবুজের মিশেলে একটা সুন্দর বিকেল কাটাতে পারেন সাফারি পার্কে।
কিভাবে যাবেন?
ঢাকা বা দেশের যেকোনো জায়গা থেকে কক্সবাজারের অসংখ্য বাস রয়েছে। চমৎকার সার্ভিস আর আধুনিক সব বাসের টিকেট কাটতে পারবেন সহজ থেকে। কক্সবাজার থেকে টমটম, অটো বা রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে রামু রাবার বাগান, রামু বৌদ্ধ মন্দির আর ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক দেখতে পারবেন খুব সহজেই।