পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে এখন দেখা যাচ্ছে শুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা। মেঘমুক্ত নীল আকাশে হিমালয়ের ২য় উচ্চতম এবং বিশ্বের ৩য় উচ্চ পর্বতশৃঙ্গ দেখতে হলে আপনাকে আসতে হবে উত্তরবঙ্গে। ভারতের সিকিম ও নেপাল জুড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা অবস্থিত। এর উচ্চতা ৮,৫৮৬ মিটার বা ২৪, ১৬৯ ফুট। বাংলাবান্ধা থেকে এভারেস্ট চূড়া মাত্র ৭৫ কিলোমিটার এবং ভারতের কাঞ্চনজঙ্ঘা মাত্র ১০ কিলোমিটার। তাই খুব কাছ থেকে একসাথেই দেখতে পাবেন এই দুইটি পর্বত। নভেম্বরের দিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেলেও, এবছর সেপ্টেম্বরের শেষ থেকেই উঁকি দিচ্ছে এই উঁচু পর্বত। নভেম্বর আর ডিসেম্বর মাসজুড়ে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন না থাকলে হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়ের যেকোনো জায়গা থেকেই দেখতে পাবেন এই মায়াবী শৃঙ্গ।
কোথায় থাকবেন?
কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য চমৎকার জায়গা হল তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো। মহানন্দা নদীর পাশে এই ডাকবাংলো থেকে খুব চমৎকার দৃশ্য দেখতে পাবেন। সকালের রোদ যখন কাঞ্চনজঙ্ঘার উপর পড়ে তার সোনালি প্রতিচ্ছবিতে মহানন্দার চোখ জুড়ানো দৃশ্য আপনার মন ভালো করে দেবে। সরকারি এই বাংলোতে থাকার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তাছাড়া এখানে থাকার জন্য রয়েছে ডিসি ডাকবাংলো, সীমান্ত পাড় সহ আরও কিছু আবাসিক হোটেল।
কিভাবে যাবেন?
কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে চলে আসুন পঞ্চগড় বা তেঁতুলিয়া। হানিফ, নাবিল সহ বিভিন্ন বাস চলে উত্তরবঙ্গে। অনলাইন থেকে চাইলেই বাস টিকেট বুকিং দিয়ে চলে আসতে পারেন এখানে। তাছাড়া ট্রেনেও চলে আসতে পারেন পঞ্চগড়। এরপর রিজার্ভ মাইক্রো, অটো বা বাসে করে ঘুরতে পারেন বিভিন্ন জায়গা।
আর কি দেখবেন?
সারাদিন ঘুরে দেখতে পারেন পঞ্চগড়ের বিভিন্ন জায়গা। তার মধ্যে রয়েছে বাংলাবান্ধা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দেখতে পাবেন পাথরবাহী অসংখ্য ট্রাকের চলাচল। তাছাড়া পঞ্চগড়ে রয়েছে ছোট-বড় চা বাগান। অনুমতি নিয়ে ঘুরে দেখতে পারেন কাজী এন্ড কাজী টি স্টেটও। বিকাল উপভোগ করতে পারেন মহানন্দার তীরে। স্থানীয়দের পাথর উত্তোলনের দৃশ্য দেখে কেটে যাবে আপনার অনেকটা সময়।