ঝর্ণা, আর সবুজ পাহাড়ের মিশেলে সিলেট বিভাগ বাংলাদেশের প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে আকর্ষণীয় জায়গা। সময় স্বল্পতার জন্য যদি আপনি দূরে কোথাও না যেতে পারেন, তাহলে একদিনে সিলেট ভ্রমণ হতে পারে আপনার জন্য স্মরণীয় একটি ট্যুর।
ডে ট্রিপের জন্য আপনাকে সিলেট জেলার রাতের বাস ধরে চলে আসতে হবে। এতে খুব সকালেই আপনি পৌঁছে যাবেন সিলেট শহরে। এরপর ঘুরে দেখতে পারেন সিলেট জেলার ৩ বিখ্যাত স্থানে।
- জাফলং
মেঘালয়ের কোলঘেঁষে প্রকৃতিকন্যা জাফলং অবস্থিত সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায়। উঁচু উঁচু পাহাড়সারিতে মেঘের খেলা আর পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ পানিতে ঝুলন্ত ডাউকি ব্রিজের রূপ দেখতে অসংখ্য পর্যটক আসেন সিলেট জাফলং-এ। চাইলে মায়াবি সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণায় গা ভেজাতে পারেন। তিন ধাপের এই ঝর্ণা এক এক ঋতুতে এক এক রূপে ধরা দেয় পর্যটকদের কাছে। এখানে বাজারে ভারতীয় বিভিন্ন জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে বসে দোকানিরা। চকলেট, জুস, প্রসাধনীসহ বিভিন্ন জিনিস কিনতে পারবেন এখান থেকে।
- বিছানাকান্দি
পাথরের উপর দিয়ে বয়ে চলা পানির স্রোতে গা ভাসাতে চাইলে আপনাকে আসতে হবে বিছানাকান্দি। সিলেটের গোয়াইনঘাটেে অবস্থিত এই পাথরের বিছানা থেকে বসে উপভোগ করতে পারবেন ভারতের খাসিয়া রাজ্যের সারি সারি পাহাড়। ভালো স্রোত থাকায় বর্ষাকাল বিছানাকান্দি আসার আদর্শ সময়। তবে বছরের অন্যান্য সময়েও অন্যরকম সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়ে বসে এই স্থান। এখানে গোসল করে কাপড় পালটে নিতে পারবেন কাছের চেঞ্জিং রুমে।
- রাতারগুল
বাংলাদেশের বৃহত্তম সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুল-ও অবস্থিত সিলেট জেলার গোয়াইনঘাটে। সবুজ এই অভয়ারন্য আর জলাবনে আপনি ২০০-৩০০টাকা ঘন্টা হিসেবে ভাড়া করা ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে ঘুরতে পারবেন। প্রাকৃতিক বন হলেও এখানে বন বিভাগ মূর্তা, বেত, কদম হিজলসহ অনেক গাছ রোপন করছে। বছরের অধিকাংশ সময় এই বন থাকে ১০ ফুট পানির নিচে থাকে। বর্ষাকালে পানির উচ্চতা বেড়ে দাঁড়ায় ২০-৩০ ফিট। ভরা বর্ষায় বন্যার সম্ভাবনা থাকে। তাই মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুন মাসের যেকোনো সময় ঘুরতে আসতে পারেন এখানে। বড় এই বনে হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকলে সাথে নিতে পারেন গাইড।
কিভাবে যাবেন?
এই ৩টি জায়গাই আপনি একদিনে দেখতে পারবেন। এজন্য আপনাকে আসতে হবে সিলেট শহরে। বাসে করে সিলেট আসতে টিকেট কাটতে পারেন এখন অনলাইনে সহজ থেকে। সময় মিলে গেলে বাস টিকেটে ভালো ডিস্কাউন্টও পেয়ে যেতে পারেন।
তারপর সিলেট শহর থেকে রিজার্ভ অটো বা গাড়িতে করে চলে আসুন গোয়াইনঘাট আর ঘুরে নিন এক এক করে ৩টি জায়গা।
সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যার মধ্যেই সিলেট শহরে ফিরে আসতে পারবেন। সিলেটের বিখ্যাত পাঁচ ভাই বা পানশী-তে খাবার খেতে ভুলবেন না।